মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড ঘনশ্যাম পুর এলাকায় মাদক সেবীদের হামলায় ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।গত ৯/৬/২৫ তারিখ ঘনশ্যাম পুর বোরহানের বাড়ির পাশে বসে মাদক সেবন এর প্রতিবাদ করায় মোস্তাক(২১) ও সুমন(২২) কে মারধর করেন মাদক সেবনকারী কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা।ঘটনাটির সমাধান করতে ১০/৬/২৫ তারিখ স্হানীয় রমিজ মৃধা (৬৫) সালিশ বৈঠক করতে তাদের কে ঘনশ্যাম পুর ঈদগাহ মাঠে উপস্থিত হতে বলেন,তার কথা মত সালিশ বৈঠকে যাওয়ার পথে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা করে ৬ জন কে আহত করেন।এ ব্যপারে বোরহান (৫৫), পিতা-মৃত মতিয়ার রহমান, বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বিবাদী ১। মোঃ নাহিদ (২৪)পিতা-ফানু মৃধা, ২।মোঃ মারুফ (২০)পিতা-মোঃ রজলু মৃধা, ৩। মোঃ নিরব (২১) পিতা-মোঃ জিয়া মৃধা, ৪। রক্সি মৃধা (৩৫), পিতা-মৃত মারফত মৃধা, ৫। মোঃ আকাশ (২০),পিতা-মোঃ শহিদ৬। মোঃ রনি (২০) পিতা-মোঃ অহিদ ৭। মোঃ আতিকুল ইসলাম (২২) পিতা-মোঃ শামীম৮। সাগর মৃধা (৩০), পিতা-মৃত আবজাল মৃধা ৯। মোঃ আকাশ (২৫),পিতা-তৌহিদ ১০। মেহেদী (২০) পিতা-আলীনুর ১১। মোঃ অমিত (১৯), পিতা-মোঃ নিজাম, ১২। মোঃ দিপু মোড়ল (২৫), পিতা-আইয়ুব আলী মোড়ল, ১৩। মোঃ এনাম (২২), পিতা-মোঃ সেলিম, ১৪। মোঃ নিহাত (২৩),পিতা-মোশারফ, ১৫। মোঃ জাহিদ (২৫), পিতা-নাসির, ১৬। মোঃ শিশির (১৯), পিতা-নুর হোসেন, সর্ব সাং-ঘনশ্যামপুর, থানা-সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সীগঞ্জগণসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে সিরাজদিখান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, সিরাজদিখান থানাধীন ঘনশ্যামপুর সাকিনস্থ জনৈক মোকসেদ মৃধার বাড়ির সামনে ১নং বিবাদীর প্রকাশ্যে হুকুম দেয় যে, “তাহাদের আটক করিয়া প্রাণে মারিয়া ফেল”। উক্ত হুকুম পাইয়া
সকল বিবাদীরা পথরোধ করে মারপিট শুরু করে। ২নং বিবাদীর হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে জুবায়ের ওরফে রানা এর মাথা লক্ষ্য করে বারি মারিলে উক্ত সে বাম হাত দিয়ে ফিরাইলে বাম হাতের কনুয়ের নিচে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। জুবায়ের ওরফে রানা মাটিতে পড়িয়া গেলে ১নং বিবাদী তার দুই হাত দিয়ে জুবায়ের গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করিয়া মৃত্যু নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। ৭নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে
হত্যার উদ্দেশ্যে রুবেল হোসেন এর মাথা লক্ষ্য করে বারি মারলে উক্ত বারি সে বাম হাত দিয়ে
ফিরাইলে বাম হাতের কনিষ্ট আঙ্গুল ভেঙ্গে তিন টুকরো হয়ে গুরুতর জখম হয়। ১২নং বিবাদীর হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মোস্তাক এর মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে উক্ত কোপ মাথার পিছনের অংশে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। সে মাটিতে পড়িয়া গেলে ৩নং বিবাদীর হাতে থাকা চাকু দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার নাকে ও মুখে আঘাত করে কাটা রক্তাক্ত জখ করে এবং ১০নং বিবাদীর হাতে থাকা হাতুরি দিয়ে ডান হাতের কুনুয়ে বারি মেরে হাড় ফাটা জখম করে ও ১১নং বিবাদীর হাতে থাকা ছ্যান দিয়ে পায়ে কোপ মারিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ১৪নং বিবাদীর হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে বাপ্পীকে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে।মাটিতে পড়িয়া গেলে ১৬নং বিবাদী বাপ্পীর গলায় গামছা দিয়ে পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। ৫নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সুমন কে মাথা লক্ষ্য করে বারি মারলে সে সরিয়া গেলে উক্ত বারি বাদির পিটে লাগিয়া গুরুতর ছিলাফুলা জখম হয়। মাটিতে পড়িয়া গেলে ৯নং বিবাদী পা দিয়ে গলায় চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। ৬নং বিবাদীর হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে হত্যার উদ্দেশে নজরুলের মাথায় আঘাত করে গুরুতর ফুলা জখম করে এবং ১৩নং বিবাদী তার বুকে লাথি মারিয়া গুরুতর জখম করে এবং ১২নং তার পকেটে থাকা নগদ ১৩,৫০০/- টাকা ও একটি মোবাইল ফোন যাহার মূল্য ১৬,০০০/- টাকা নিয়া যায়। ১০নং বিবাদী মোস্তাক এর হাতে থাকা একটি মোবাইল ফোন যাহার মূল্য ৩২,০০০/- টাকা নিয়া যায় এবং চার আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য ৪০,০০০/- টাকা নিয়া যায়। জখমীরা আহত অবস্থায় মাটিতে পরে থাকলে বিবাদীরা জখমীদের এলোপাথারি ভাবে কিল ঘুষি লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। জখমীদের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা জখমীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ সুযোগ পাইলে খুন জখম করবে মর্মে হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় জখমীদের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এলাকায় খোজ নিয়ে আসামি রনি এবং আকাশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা এবং নাহিদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ শাহেদ আল মামুন বলেন, বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে, তদন্ত করে দোষি সাবস্ত হলে আসামিদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।