মোঃ হেমায়েত হোসেন খান,নিউজ ডেক্স প্রতিদিনের ক্রাইমঃ-মাদারীপুর-৩ আসনের (কালকিনি, ডাসার ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ড.আবদুস সোবহান গোলাপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন কালকিনি ও ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা।
ড.আবদুস সোবহান গোলাপের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগম।
ড.আবদুস সোবহান গোলাপ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় গত রবিবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা।
এতে অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগম নিজেই নেতৃত্ব দেন এবিক্ষোভ মিছিলের। মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে কালকিনির পুরান বাজার ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়ে সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগম, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর মামুন অর রশীদ, ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহামুদুল হাসান দোদুল, কালকিনি পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশ্রাব আলী ব্যাপারী, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদারসহ উপজেলা আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাহমিনা বেগম বলেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এই বয়সে আমার নির্বাচনে আসতে হবে, এটা আমার জন্য কষ্টের।…অন্যায়কারী, শোষণকারী, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ গোলাপকে আমরা চাই না। বর্তমান নৌকার মাঝি দুর্নীতিবাজ। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কলঙ্কিত করেছেন।
মাদারীপুর-৩ আসনে নির্বাচন করার জন্য সাতজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তবে সে তালিকায় তাহমিনা বেগমের নাম ছিল না। এখন কেন নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা বলছেন জানতে চাইলে তাহমিনা মুঠোফোনে বলেন, তিনি দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবেন না, দুর্নীতিবাজ প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করবেন। অযোগ্য লোক নৌকা পাওয়ায় এর প্রতিবাদ স্বরূপ নির্বাচন করবেন। আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নির্বাচন করবেন।
রবিবারের সভায় তৌফিকুজ্জামান শাহীন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে নেতা–কর্মীদের ওপর যদি অন্যায়-অবিচার করা হয়, তাহলে কালকিনিতে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হবে। কারণ, এই নির্বাচন হবে কালকিনিকে শুদ্ধ করার শেষ লড়াই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কালকিনিবাসী গোলাপের পরিবর্তে এমপি হিসেবে তাহমিনা আপাকে চায়। আমরা বেঁচে থাকতে দুর্গন্ধ গোলাপ আর চাষ করতে দেব না।