সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, মোঃ শাহাবুদ্দিন সেলিমঃ-সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ,কামারখন্দ রোহা গ্রাম থেকে র্যাব-১২’র অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী নাশকতামূলক সন্ত্রাসী মামলায় ২ জন আসামি কে গ্রেফতার করেন র্যাব ১২, র্যাব ১২ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার মামলা নং-২৮, তাং-২৯/১০/২০২৩ খ্রি. ধারা-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) তৎসহ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ১৯০৮ সালের ধারা ৪/৫/৬ এবং সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানায় মামলা নং-২২, তাং-২৯/১০/২০২৩ খ্রি. ধারা-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫(ঘ) তৎসহ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ১৯০৮ সালের ৪/৫/৬ মূলে রাষ্ট্র বিরোধী নাশকতামূলক সন্ত্রাসী মামলার সন্দেহ ভাজন দুই জন আসামি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানাধীন রোহা গ্রাম এবং কামারখন্দ থানাধীন মুগবেলাই গ্রামে অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার ৫ নভেম্বর ২০২৩ ইং সকাল আনুমানিক ০৮.০০ ঘটিকা হতে ১০.০০ ঘটিকা পর্যন্ত উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাষ্ট্র বিরোধী নাশকতামূলক সন্ত্রাসী মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি রায়গঞ্জ থানার বিএনপির সভাপতি ১। মোঃ শামসুল ইসলাম (৬২), পিতা-মৃত আলহাজ্ব জাহের আলী, সাং-রোহা, থানা-রায়গঞ্জ এবং বিএনপি সক্রিয় কর্মী ২। মোঃ ফরিদুল ইসলাম মিঞা (৫২), পিতা- মোঃ সুলতান হোসেন মিঞা, সাং- মুগবেলাই, থানা- কামারখন্দ, উভয় জেলা-সিরাজগঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায় যে, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কর্তৃক সারা দেশে গত ২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর হতে ০২ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৭২ ঘন্টার অবরোধ চলাকালে ধৃত আসামি সহ আরও অন্যান্য আসামিগণ সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানাধীন হাইওয়ে রোডে এবং কামারখন্দ থানাধীন ঝাঐল হাইওয়ে রোডে অবস্থান করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অন্তর্ঘাতী কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে হরতালের সমর্থনে মিছিল, পিকেটিংসহ হাতে পেট্রোল বোমা, ককটেল, লাঠি-সোটা, লোহার রড ও বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের কর্মক্ষমতা দুর্বল করার নিমিত্তে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে।
উক্ত আসামিদ্বয় বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে একই উদ্দেশ্যে অন্তর্ঘাতমূলক কার্য সম্পাদনসহ সরকারী কাজে বাধা প্রদান করে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামি দ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানা এবং কামারখন্দ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। র্যাবের সাহসী অভিযানের মাধ্যমে এই গ্রেফতারের ফলে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।