মোঃ হেমায়েত হোসেন খান,নিজস্ব প্রতিবেদক মাদারীপুরঃ- মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়া এলাকার মোঃ সেলিম ফকির-(৪০) নামের এক চুরি মামলার সাক্ষীকে (২৬আগস্ট) ২০২৩ ইং তারিখ শনিবার রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পরে হামলার শিকার সেলিম ফকিরকে স্থানীয় স্বজনদের সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে হামলার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ভূক্তভোগী সেলিম ফকিরের স্ত্রী নাজমা বেগম।
এবিষয়ে ভুক্তভোগীর স্বজন ও তার পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন,অপরদিকে চুরি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডাসার থানার এস আই মোঃ কালাম হোসেন ঘটনার বিষয়ে তেমন কোন গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভূগী পরিবার ও এলাকা বাসী।
ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের দক্ষিন মাইজপাড়া গ্রামের কেতাবালী ফকিরের ছেলে বাদশা ফকিরের একটি পাওয়ার পাম্প মেশিন ৪/৫ দিন আগে চুরি হয়ে যায়। চুরির ঘটনায় স্থানীয় লোকদের সহযোগীতায় ডাসার থানা পুলিশ চুরি হওয়া ওই মেশিন ভূরঘাটা বাজারের একটি ভাঙ্গারী দোকান থেকে উদ্ধার করেন।
এঘটনার বিষয়ে মেশিনের মালিক বাদশা ফকির বাদী হয়ে একই এলাকার শাহা জালাল, মনা ও বায়জিদকে আসামী করে ডাসার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত মামলার সাক্ষী করা হয়
মোঃ সেলিম ফকিরকে।
এরেই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্ত আসামিগন ক্ষিপ্ত হয়ে,ভুক্তভোগী মোঃ
সেলিম ফকিরকে গত (২৩ আগস্ট) রাত্র ৮,৩০ ঘটিকার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দক্ষিন মাইজপাড়া গ্রামের রিপন মাস্টারের বাড়ির সামনে এলেই কয়েকজন মিলে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোঃ সেলিম ফকিরের উপর হামলা চালায়।
হামলার শিকার সেলিম ফকিরকে স্থানীয় লোকজন ও তার পরিবার গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে চুরি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডাসার থানার এস.আই মোঃ কালাম হোসেন চোরদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। অপরিদিকে এ হামলার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভূক্তভোগীর স্ত্রী নাজমা বেগম।
আহত সেলিম ফকির বলেন, ‘মামলার সাক্ষী হওয়ায়, অভিযুক্ত গাফফার, শাহাজালাল ও মনা আমাকে কুপিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। তাই আমার স্ত্রী নাজমা বেগম তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি এঘটনার হামলাকারী সন্ত্রাসীদের নামে মামলা করব।
এবিষয়ে চুরি মামলার বাদী মোঃ বাদশা মিয়া বলেন,ওরা ‘আমার মেশিন চুরি করেছে, আমি সেলিম ফকিরকে সাক্ষি করে মামলা দায়ের করার কারনেই তারা মোঃ সেলিম ফকিরের উপর হামলা চালিয়েছে।
এবিষয়ে চুরি মামলার অভিযুক্ত আসামী ও হামলাকারীদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায় নাই।
স্থানীয় একাধিক সচেতন মহল ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অতি ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে বলেন,চুরি মামলার আসামীদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে সাক্ষীর ওপরে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতো না।
এবিষয়ে ডাসার থানার ওসি মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এবং সাক্ষীর ওপর হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।