নিজস্ব প্রতিবেদ, আতাউর রহমান চঞ্চলঃ- বরিশালের গৌরনদীতে অধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরধরে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে যুবলীগের তিন নেতার উপর হামলা করে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া যায়, দলীয় প্রতিপক্ষ গ্রুপের উপর।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ৫টার দিকে গৌরনদী পৌরসভার কসবা আল্লাহ’র মসজিদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- পৌর যুবলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক কাওছার ফকির (৩০), পৌর যুবলীগের সিনিয়র সদস্য রায়হান ফকির (২৯) ও সদস্য এনায়েত হোসেন ওরফে ইমাদ খান (৩৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবলীগ নেতা কাওছার ফকির অভিযোগ করে বলেন, আমিসহ পৌর যুলীগের সিনিয়র সদস্য রায়হান ফকির, পৌর যুলীগের সদস্য এনায়েত হোসেন ওরফে ইমাদ খান, একটি মোটর সাইকেল যোগে বুধবার বিকাল ৫টার সময় টরকী বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হই।
আমাদের মোটর সাইকেলটি কসবা আল্লাহ্’র মসজিদ বাসস্ট্যান্ডে পৌছালে পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আল-আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে যুব ও ছাত্রলীগের ১০/১২ নেতাকর্মী আমাদের মোটর সাইকেলটি পথিমধ্যে গতিরোধ করে।
এ সময় পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আল-আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে আমাকে (কাওছার), রায়হান ফকির ও ইমাদ খান কে হাতে ও পায়ে একাধিক কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আমাদের তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা আমাদের কে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করে দেন।
পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আল-আমিন হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই, এবং যুবলীগ কর্মীদের উপর হামলার বিষয় আমি কিছুই জানিনা বিষয়টি দুঃখজনক,কেনো আমাকে জড়ানো হয়েছে এই ঘটনার সাথে সঠিক বলতে পারবোনা,তবে আমার দলীয় ভাবমূর্তি ও মানসম্মান ক্ষুন্ন করতে কোন কুচক্রী মহল দোষারোপ ও বদনাম করছে বলে আমি মনে করছি,এসময় আমি গৌরনদী বন্দর ভোলা সাহার মার্কেটে কেনাকাটা করছিলাম। এ হামলার ঘটনার সাথে যে বা যাহারা জড়িত তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই সেই সাথে আইনগত দৃষ্টান্তমূলখ শাস্তির দাবি করছি।
গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, এ হামলার বিষয় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।কসবা এলাকায় থানা পুলিশ টহলে রয়েছে।