বিশেষ প্রতিনিধি,গাজীপুর কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের মোদেরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর থেকে বেলাল হোসেনর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মারধর করে চার লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে একই এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মনির মিয়া (২৮) মানিক মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া, (২৬)ফজলুল হকের ছেলে ইকবাল (২৫)মৃত অহেদ আলীর ছেলে শাহাবুদ্দিন (৫৫)মৃত লাল মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (৫০)মৃত তাহের আলীর ছেলে ফজলুল হকসহ অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে।
গত রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কাপাসিয়া উপজেলার মোদেরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এমন ঘটনা ঘটে। আহত বেলাল হোসেন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার ঘোষেরকাশি এলাকার মৃত আঃ কাদির হোসেনের ছেলে।
এ ব্যাপারে গেল সোমবার সকালে ভুক্তভোগী বেলাল হোসেন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,গেল রোববার রাতে মোটরসাইকেলে করে বেলাল হোসেন তার শ্বশুর নুরুল আমিনের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়িতে আসার পথে রাত সাড়ে নয়টার দিকে কাপাসিয়া উপজেলার মোদেরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে পূর্বে থেকে ওতপেতে থাকা আসামীরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে , চাপাঠি, লোহার রড দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে দিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার সাথে থাকা তিন লক্ষ টাকা, প্যান্টের পকেটে থাকা ১৮,০০০ হাজার টাকা ও স্যামসাং কোম্পানির নোট-৮ মোবাইল ফোন, মুল্য ৮৪,০০০টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আহত বেলাল হোসেনের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আসতে দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে।
হামলার শিকার বেলাল হোসেন জানান, আমি একটু সুস্থ হয়ে বাড়িতে এসে ছিনতাই ও হামলার ঘটনা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে জানালে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সকালে তাকে বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে মুখে গামছা পেঁচিয়ে টানা হ্যাচরা করতে করতে বসত বাড়ীর উত্তর পাশে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে নিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি ভাবে কিল ঘুষি ও শাবল, রামদা, ছেমদা দিয়ে কোাপাতে থাকলে ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাই আসলে আসামিরা সরে যায়।এখন আমাকে পরবর্তী সময়ে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি লোকজনের সহায়তায় গাজীপুরে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করি। আমি সরকার ও প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত মনির মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও কোন সারা মেলেনি।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এইচ এম লুৎফর কবীর বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।