1. admin@protidinercrime.com : admin :
  2. protidinercrime@gmail.com : প্রতিদিনের ক্রাইম ডেস্ক : প্রতিদিনের ক্রাইম ডেস্ক
প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার অধিকার আদায়ে বৈশ্বিক পদক্ষেপ। - Protidiner Crime - প্রতিদিনের ক্রাইম
২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| সোমবার| সন্ধ্যা ৬:৪৭|
সংবাদ শিরোনামঃ
মাদারীপুরে ড্রেজার ব্যবসা ও আধিপত্য নিয়ে তিনজন নিহত”আহত-২ বরিশাল নগর বিএনপি / জিয়ার রক্তে রঞ্জিত রাজপথ জিয়াতেই নিরাপদ! রামপালে ওয়ার্ল্ড ভিশনের নগদ আর্থিক সহায়তা পেলে ৩৮০ হতদরিদ্র পরিবার রামপাল সরকারি কলেজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন রামপালে সুন্দরবন মহিলা কলেজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন সড়ক দুর্ঘটনায় মেরুদন্ড ভেঙে গেছে, তবুও জীবন যুদ্ধে জয়ী হাসান সরদার খুলনার তেরখাদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলাম আটক ডাসারে গ্রাম আদালত বিষয়ক “কমিউনিটি মত বিনিময় ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত রানীশংকৈল উপজেলায় কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, গ্রেফতার -১  গৌরনদীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার অধিকার আদায়ে বৈশ্বিক পদক্ষেপ।

প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টার,আগৈলঝাড়াঃ- বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সোমবার ঠিক দুপুর ১২টায় একই সঙ্গে, একযোগে বাংলাদেশের শিশুরা এক মিনিট ধরে ঘন্টা বাজিয়ে সকল প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার অধিকার আদায়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলো নীতি নির্ধারক ও দেশবাসীর।উই রিং দ্য বেল’

নামক বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ও অ-প্রতিবন্ধী শিশুরা ৩২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘন্টা, ঢোল, বাদ্যযন্ত্র এমনকি থালা বাসনে আওয়াজ তুলে প্রতীকী এ কর্মসূচী পালন করেছে। একই সময়ে আফ্রিকা,এশিয়া, ইউরোপ এবং ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী,উই রিং দ্য বেল’ নামক এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছে।

এ বছর উই রিং দ্য বেল’ এর মূল বার্তা হল: ” আমরা চাই প্রতিবন্ধীসহ সকল শিশু বিদ্যালয়ে আসুক”। যে সমস্ত প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে যেতে পারেনা তাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অন্য সকল প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধী নয় এমন সকল শিশু, তাদের শিক্ষক, অভিভাবক মিলে এ কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারন কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষন করলো। নগরবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর বারোটা থেকে বারোটা এক মিনিট পর্যন্ত একযোগে ঘন্টাধ্বনী বাজালো নগরবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা। এ কর্মসূচীতে বিশিষ্টজন ও নীতি নির্ধারনী কর্তৃপক্ষের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ইস্ট্রাকটর, ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, এসএম সি সদস্যবৃন্দ, অভিভাবক ও সাংবাদিক সহ গুনি জন।

সারাবিশ্বব্যাপী এই কার্যক্রমটি একইভাবে উদযাপন করছে প্রতিবন্ধী ও সাধারণ স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলের আঙ্গিনায় একত্রিত হয়ে ১ মিনিটব্যাপি বেল ও ড্রাম বাজিয়ে অসাধারণভাবে কোলাহল তৈরী করেছে। “ডব ৎরহমঃ যব নবষষ ক্যাম্পেইনের পাশাপাশি একই দিন বেল রিলে ও সিগনেচার ক্যাম্পেইন নামে আরো দু’টি পৃথক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় । উদ্দেশ্য একটাই প্রতিবন্ধী শিশুদের বিদ্যালয়ে গমনের বিষয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সচেতন করা এবং তাদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হওয়া । এই কর্মসূচীর মাধ্যমে তারা প্রতিবন্ধী শিশুদের বিদ্যালয় গমনে প্রতিবন্ধকতা দূর করার মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ঠদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলো।

উই রিং দ্য বেল’ ক্যাম্পেইনটি নেদারল্যান্ড ভিত্তিক লিলিয়ান ফাউন্ডেশনের একটি উদ্যোগ যা বাংলাদেশে এর কৌশলগত অংশীদার সিডিডি সারাদেশে পালন করছে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষায় সহায়তা প্রদান ও সকলকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য লিলিয়ান ফাউন্ডেশন সিডিডি -কে সহায়তা করছে এবং সিডিডি এর স্থানীয় অংশীদার বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা

(বিপিইউএস) মাধ্যমে আগৈলঝাড়ায় তা বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু বাংলাদেশে ও সারা বিশ্বে এ বিষয়ে সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন। এসব স্কুল প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আক্ষরিক ও চরিত্রগতভাবে আরও বেশি প্রবেশগম্য হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ যেন প্রতিবন্ধী শিশুদের চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং শিক্ষা যে প্রতিবন্ধী শিশুরও মৌলিক অধিকার সেটা যেন সকলে অনুধান করে।

বৈশ্বিক লক্ষ্য ২০০০ সালে জাতিসংঘের ২০০ টি দেশ আটটি বিষয়ে সহব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সম্মত হয়। এর মধ্যে একটি লক্ষ্য হল ২০১৫ সালের মধ্যে শতভাগ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাবে, যা এখনো অর্জিত হয়নি। সারা বিশ্বে অনেকশিশু (৮৯% পর্যন্ত) বিদ্যালয়ে যাচ্ছে, কিন্তু প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্ষেত্রে নিয়ে ও মাধ্যম আয়ের দেশ সমূহে মাত্র ১০% প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে যায়। এমনকি নেদারল্যান্ডেও তাদের অংশগ্রহণ অনেক কম। “ডব ৎরহমঃযব নবষষ” যদিও একটি বাৎসরিক অনুষ্ঠান, কিন্তু ২০১৯ সালে এর গুরুত্ব, সর্বাপেক্ষা বেশি। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কঠোরভাবে কাজ করছে।

২০১৬ থেকে পরবর্তী সময়ের জন্য জাতিসংঘ নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে তা অর্জনে কাজ করছে। এই নতুন লক্ষ্যের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হবে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্টাল গোলস এ সুবিধা পায়নি সেইসকল ব্যক্তিবর্গ। এরা হল বিশেষভাবে প্রতিবন্ধী শিশু ও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি। ২০০০ সাল থেকে তারা খুব কমই উন্নয়ন করতে পেরেছে। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার এটাই মূখ্য সময় এবং এই পরিবর্তনের ডাক বিশ্বব্যাপী যত উচ্চ ঝংকার তুলবে বিশ্ববাসী সেই ডাক তত ভাল শুনতে পাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
© All rights reserved ©2024 protidinercrime.com