আতাউর রহমান চঞ্চলঃ- গৌরনদীর ঐতিহ্যবাহী টরকীবন্দর লঞ্চঘাটের আড়িয়াল খাঁ নদী ও বাশাইল খালের প্রবেশদ্বার মুখে অবৈধভাবে দখল করে বাধদিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠিয়েছেন টরকী বন্দরের একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা,সরকারি খাল দখল ও উপজেলা পানি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বাশাইল খালের পানি প্রবেশ মুখেবাধ দিয়ে কৃষকদের জিম্মি করে সেচপ্রকল্প বসিয়ে অধিক মূল্যে পানি বিক্রি করে আসছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের কিছু রাজনৈতিক নেতা।
জিম্মি করে রাখা হয়েছে অনেক অসহায় কৃষকদের,এমনই অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী নাম না বলা শর্তে কয়েক জন কৃষক।টরকী ও বাশাইল খালের অবৈধ দখলদারিদের বিরুদ্ধে একাধিকবার পত্রপত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা হলেও কর্ণপাত করেনি এই অসাধু দখলদার ব্যবসায়ীরা, জনমনে প্রশ্ন এদের খুঁটির জোর কোথায়। গত কয়েকদিন যাবত টরকী ও বাশাইল এর দখলকৃত খাল নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে সংবাদ প্রচার করে আসছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও টিভি চ্যানেল।তাতেই নজরে আসে প্রশাসনের, বিষয়টি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিনে পরিদর্শনে আসেন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবু আব্দুল্লাহ খান।
আড়িয়ালখাঁ নদীর টরকীবন্দর লঞ্চঘাট বাশাইল খালে প্রবেশদ্বার মুখের অবৈধ বাধসহ সকল অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনা সরিয়ে নেওয়াসহ খালের বাঁধ অপসারণের নির্দেশে রাজাপুর ধানডোবা চেংঙ্গুটিয়া ও বাশাইলের কৃষক ও জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানাযায় একাধিক সূত্রে।
সেই সাথে সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও লাইন্সেস বিহীন করাতকল স্থাপন করে অবৈধ ভাবে ব্যবসায় করায় মোঃ সোহরাব হোসেন মিয়াকে ১০.০০০/ দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন মোবাইল কোর্ট আদালতের বিচারক এক্সকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু আব্দুল্লাহ খাঁন ও সহকারী (ভূমি) কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে মাহিলাড়া, বাটাজোড়া, আশোকাঠি, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১৩,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার বিপুল হোসেন, গৌরনদী মডেল থানার এ এস আই কামাল হোসেন সহ সঙ্গীও ফোর্স।