শ্রাবন খান সজীব,মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ- মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তিন ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রথমে শহরের দরগা শরীফ এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত দিপ্তোর বাড়িতে যান জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতের স্বজনরা। নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পরে তারা ঘটমাঝি ইউনিয়নের ভদ্রখোলা এলাকার নিহত রোমান বেপারী ও মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুইচারভাঙ্গা গ্রামের তাওহীদ সন্ন্যামাতের বাড়িতে গিয়ে নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এবং এই ঘটনায় দোষিদের বিচার নিশ্চিত করতে পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস জানায় জেলা প্রশাসন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান সিকদার, জেলা যুব দলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান খান (ফকু), পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল বাশার মাতুব্বার, সদস্য সচিব কামাল হাসান, জেলা যুবদল নেতা বিদ্যুৎ বাকাউল সহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই পুলিশ ও ছাত্রলীগের ধাওয়ায় শহরের শকুনি লেকের পানিতে ডুবে মারা যায় মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী দিপ্ত দে।
পরে এই ঘটনায় জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী গত (৫ সেপ্টেম্বর) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের নামে মাদারীপুর বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত ১৯ জুলাই খাদগী এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে গুলি চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় তাওহীদ সন্ন্যামাত ও রোমান বেপারী। এই ঘটনায় ২৪ আগস্ট নিহত পিকআপ চালক রোমান বেপারীর স্ত্রী কাজল আক্তার বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ৩০০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেন।
রাজমিস্ত্রী তাওহীদ সন্ন্যামাত (২১) হত্যার ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাদারীপুরের সাবেক ৪ এমপিসহ ৯২ জনের নামে মামলা দায়ের করেন