মনির হোসেন বিশেষ প্রতিনিধিঃ- তথ্য মন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার পেলো বরিশালে মা হারা শিশু মরিয়ম এবং নুরকে ভাড়া বাসায় তালাবদ্ধ রেখে রিকশা চালাতেন রনি সিকদার ফিরোজ। শিশু দুটি সারাদিন ঘরের জানালা দিয়ে বাইরের আলো-বাতাস দেখতো। মাঝে মাঝে সন্তানদের নিয়ে রিকশায় ঘুরতেনও। বরিশাল নগরীর পশ্চিম কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা রনি সিকদারের জীবন এভাবে চলছিল গত দেড় বছর।
রিকশায় বসা দুই শিশু সন্তান আর বাবা চালকের আসনে- এমন একটি দৃশ্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দৃষ্টি পড়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের। তিনি রনিকে নতুন রিকশা ও নগদ অর্থ প্রদান করেন।
৩০ শে আগষ্ট বুধবার বিকেলে রনিকে তথ্যমন্ত্রীর উপহারের রিকশা ও নগদ অর্থ প্রদান করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এ ঘটনায় ভীষণ খুশি রিকশাচালক রনি।
বরিশাল সিটির নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার বিকেল ৫টায় উপহারের নতুন রিকশার চাবি রনির হাতে তুলে দেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক,সেসময় ছাত্র লীগ জুনায়েদ জনি, বাবু সরদারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। লস্কর নুরুল হক সংবাদ দাতাকে বলেন, অসহায় রনি যে তার দুই সন্তানকে রিকশায় নিয়ে ঘুরছেন, এমন দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখে তথ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত কর্মকর্তার মাধ্যমে বরিশালে খোঁজ নেন। তিনি রনির জন্য একটি নতুন রিকশা এবং পাঁচ হাজার টাকাও প্রদান করেন। তথ্যমন্ত্রীর এমন মহানুভবতায় বরিশালবাসী তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
রনি সিকদার বলেন, তিনি মা হারা দুই সন্তানকে নিয়ে খুবই কষ্টে ছিলেন। কোথায় রাখবেন, কার কাছে রাখবেন-এমন দুচিন্তায় তাদের ঘরের মধ্যে তালা মেরে রিকশা চালাতে যেতেন। তথ্যমন্ত্রীর উপহারে তার জীবিকা অর্জনের পথ সৃষ্টি হলো। এটি ভাড়া দিয়ে অর্থ উপার্জন করবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেন রনি সিকদার ফিরোজের স্ত্রী মারজান। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলায় চার মাস ১৮ দিন কারাবন্দিও ছিলেন ফিরোজ। পরবর্তীতে প্ররোচণায় সম্পৃক্ত না থাকায় খালাস পান তিনি।