বিশেষ প্রতিনিধিঃ-‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ২৮শে সেপ্টেম্বর(বৃহস্পতিবার) দিনব্যাপী ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ(সিএনবি) বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে লাবনী পয়েন্টে র্যালী, সুগন্ধা পয়েন্টে জনসচেতনতামূলক লিফটলেট বিতরণ এবং সৈকত থেকে প্লাস্টিক ও ননডিগ্রেডেবল বর্জ্য অপসারণসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে।
এই সময় সিএনবি’র সদস্যগণ পর্যটক থেকে শুরু করে পর্যটন পেশার সাথে জড়িত সকল ধরনের পেশাজীবীদের সাথে ইকো ট্যুরিজম এবং কক্সবাজার সহ পৃথিবীর যেকোন পর্যটন কেন্দ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন
এই সময় সিএনবির সকল কর্মসূচি এবং দাবীর পক্ষে সহমত পোষণ করেন কক্সবাজার- ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি কক্সবাজার জেলার পক্ষ থেকে সিএনবি টিমকে সাধুবাদ এবং শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কক্সবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম, তিনি বলেন, ” টেকসই উন্নয়নের শক্তিশালী এক চালক হলো পর্যটন। শিক্ষা, নারী ও তরুণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং সমাজের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে পর্যটন অবদান রাখে। সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা পুনরুদ্ধার ও সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে দেয়”
সিএনবির নির্বাহী পরিচালক মোনছেফা তৃপ্তি বলেন, “ভ্রমণ আমাদের জীবন দক্ষতা বৃদ্ধি করে, ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে তবে সবার আগে আমাদের জ্বালানি খরচ কমাতে হবে, শূন্য কার্বন নিঃসরণের পথে হাঁটতে হবে এবং জীববৈচিত্রকে রক্ষা করতে হবেন এবং পর্যটন খাতকে পরিবেশ বান্ধব করতে নীতি নির্ধারকগনকে সবুজ পর্যটনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।”
কর্মসূচিতে ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ সিএনবির শামিম মিয়া, মোঃ রাজিব হোসেন, মোঃ ফাহিম উদ্দিন পাটোয়ারি, সুমাইয়া উম্মে হানি, মোঃ সোহানুর রহমান, তাহসিন আহমেদ, মুশফিকা তানজিম কস্তুরি, মাহমুদুল আলম সহ অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হচ্ছে। পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া এ দিবসের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্রের কথা বললেই চোখের সামনে ভেসে আসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ভ্রমনে দেশ ও বিশ্বের নানা পর্যটকরা চলে আসেন। কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্য সারাবিশ্বের পর্যটকদের মন কেরে নেয়। তাই প্রতিবছর এখানে সারাবিশ্ব হতে পর্যটকরা ছুটে আসেন। পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে ৭ দিন ব্যাাপী বিচ কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে।