মোঃ হেমায়েত হোসেন খান,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের ৬২ নং পশ্চিম বালিগ্রাম মৌজায় ফুফুর থেকে ১ শতাংশ জমি দানপত্র দলিল নেওয়ার কথা বলে ২৬.৩৫ শতাংশ বাড়ির জমি প্রতারনা করে রেজিঃ দলিল করে নেওয়ার অভিযোগ ভাতিজা ইউসুফ সহ চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগ খবিরন নেছা (৬৫) গত (৪সেপ্টেম্বর) ডাসার উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি একজন অশিক্ষিত বয়স্ক সহজ-সরল মানুষ,আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আমার ভাইয়ের ছেলে ১/বিবাদী ইউসুফ চৌকিদার আমার কাছে বসত ঘর তোলার জন্য বাড়িদিয়ে ১ শতাংশ দাবী করেন,আমি মায়ায় পরে সরল মনে তাদের কথায় রাজি হয়ে গত ২৯/০৭/২০১৯ ইং সালে ১শতাংশ জমি রেজিঃকৃত হেবাবিল এওয়আজ দলিল করে দেই,
তিনি আরো বলেন, আমার সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার জন্য আমার ভাইয়ের ছেলে ১/ইউসুফ চৌকিদার ২/ইউনুস আলী চৌকিদার ৩/মোঃ হেমায়েত হোসেন ৪/মোঃ এনায়েত হোসেন সর্ব পিতা মৃত্যু আব্দুল মান্নান চৌকিদার সাং পশ্চিম বালিগ্রাম উপজেলা ডাসার জেলা মাদারীপুর এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ কালকিনি সহকারী জজ আদালত মাদারীপুরে একটি মামলা দায়ের করেছি,যাহার দেওয়ানী মামলা নং ৩০০/২০২৩ তারিখ- ২২/০৮/২০২৩ ইং
এবিষয়ে ভুক্তভোগী খবিরন নেছার ছেলে মোঃ রুবায়েত বেপারী বলেন, আমার মা খবিরন নেছা একজন অশিক্ষিত বয়স্ক সহজ সরল মানুষ, আমার মামাতো ভাইয়েরা মায়ের কাছে বসত ঘর তোলার জন্য বাড়ি দিয়ে ১ শতাংশ জমি দাবী করেন, আমার মা মায়ায় পরে সরল বিশ্বাসে রাজি হয়ে, মাদারীপুর জেলার সাবেক কালকিনি উপজেলা বর্তমান ডাসার উপজেলাধীন বালিগ্রাম ইউনিয়নের ৬২ নং পশ্চিম বালিগ্রাম মৌজার বি আর এস ৭৭ নং খতিয়ানে ৪৩ শতাংশ জমির মধ্যে ১০.৭৫ শতাংশ বি,আর এস ১৳৫ নং খতিয়ানে ৬১ শতাংশের মধ্যে ১৫.২৫ শতাংশ বি আর এস ৩৯৬ নং খতিয়ানে ৭০ শতাংশ ভূমির মধ্যে ৩.৮৫ ভূমিতে বাদী খবিরন নেছা সত্যবান দখলে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার মায়ের সরলতার সুযোগে ১-৪ বিবাদীগন প্রতারনা করে অসৎ উদ্দেশ্যে লিপ্ত হয়ে বি আর এস ৩৯৬ নং খতিয়ানের ৩৯৫ নং লাগে বাদী বি আর এস ৩৯৬ নং খতিয়ানে তার প্রআপ্য ভূমির মধ্যে ০১ শতাংশ জমি ১-৪ নং বিবাদীগনদের বসতবাড়ি সুবিধার জন্য দান করার সুজুগে গত ২৯/০৭/২০১৯ ইং সালে ৩৩৪৪ নং হেবাবিল দলিলে বাদীর পৈত্রিক সূত্রে ২৬.৩৫ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়। এঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ মিমাংসা করে উক্ত জমি ফেরত দিবে বলে স্বীকার করে ও এ পর্যন্ত জমি ফেরত দেয় নাই।
আমার মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার জন্য আমার মা বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন।আমরা এই প্রতারকদের বিচার চাই।