মোঃ হেমায়েত হোসেন খান,নিউজ ডেক্স প্রতিদিনের ক্রাইমঃ- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেশের দক্ষিণের পথে রেলপথ উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনের পর মাওয়া রেলস্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনের দিকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টেশনে টিকিট কাটে বেলা ২ টার পরে তিনি ভাঙ্গায় আসেন। এই ট্রেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও দেশের ঊর্ধ্বতম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, রেলমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে রেলপথ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন,শেখ রেহানা।
এছাড়াও ছিলেন সেনা প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন (মুন্সীগঞ্জ-২) আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন। এসময় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। রেলওয়ে সচিব মোঃ হুমায়ুন কবির।
পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথটি ঢাকার গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাদারীপুর-ফরিদপুর গেছে। আগামী বছর এই রেলপথের বাকি অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত চালুর লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
চীন থেকে আমদানি করা ১৪টি কোচ দিয়ে সরকার প্রধানের জন্য ট্রেনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। বেলা ৩টায় ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনের পর শিগগিরই এই পথে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। তবে এখনো দিন-তারিখ ঠিক হয়নি। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু করা হয়েছে। এই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সেতুর ভেতরে রয়েছে ট্রেন চলাচলের পথ। পদ্মার দুই পাড়ে যোগাযোগ স্থাপন করতে নেওয়া হয় আলাদা প্রকল্প, যা পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্প নামে পরিচিত।
বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪৩ জেলায় রেলপথ রয়েছে। ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ ও মাদারীপুর রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ রেলপথটির ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে প্রতিদিন ১৩ জোড়া ট্রেন চলবে। একইভাবে ভাঙ্গা-কাশিয়ানী অংশে প্রতিদিন সাত জোড়া ও কাশিয়ানী-যশোর অংশে প্রতিদিন চলবে পাঁচ জোড়া ট্রেন।