সাবরিনা জাহান,গাজীপুর জেলাঃ- গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ দিন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার মধ্য রাতে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।
মারা যাওয়া শফিকুল ইসলাম (৩৫) গ্যাস সিলিন্ডারের মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি পাবনার সুজানগরের নাজিরগঞ্জ গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে। তাঁর শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।গাজীপুর নগরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহীম হোসেন পিপিএম বলেন, গতকাল রাতেই শফিকুলের লাশ তাঁর স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ আগস্ট বিকেলে গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মিনারুল ইসলামের বাড়ির রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যায়। স্থানীয় বাজার থেকে তাঁরা একটি গ্যাস ভরা সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর পরও চুলা জ্বলছিল না। পরে সিলিন্ডারের দোকান থেকে মিস্ত্রি শফিকুল ইসলাম এসে মেরামতের কাজ করেন। মেরামত শেষে চুলা জ্বালাতে গেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মিস্ত্রি শফিকুল, রান্নাঘরে থাকা মিনারুলের মা খাদিজা, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল ও তাঁর বাবা ফরমান মণ্ডল অগ্নিদগ্ধ হন। আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান।ঘটনার পরদিন মিনারুলের বাবা ফরমান মণ্ডল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ১৭ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিনারুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে। মিনারুল বোর্ডবাজার মুক্তারবাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে স্ত্রী-সন্তান ও মা-বাবাকে নিয়ে বসবাস করতেন।