সাগর কুমার বাড়ই, তেরখাদাঃ-গত ২ রা ডিসেম্বর খুলনার তেরখাদা উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র টি এন্ড টি চত্বরে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত দিন ব্যাপী তেরখাদা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর আয়োজনে আনন্দ রেলী, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
রেলী টি টি এন্ড টি চত্বর থেকে শুরু হয়ে তেরখাদার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে বীর মুক্তি যোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পন করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ।
১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নিরীহ বাঙ্গালির উপর নির্মম অত্যাচার শুরু করলে
পাক – হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের প্রতিবাদে তেরখাদার সূর্য সন্তানেরা ঝাপিয়ে পড়ে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মা বোনদের সভ্রাম ও হাজার হাজার প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সারা বাংলাদেশের মধ্যে সর্ব প্রথম তেরখাদা উপজেলায় পাক- হানাদার বাহিনী মুক্ত হয় ।
এ দিবসটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২ রা ডিসেম্বর তেরখাদায় পাক – হানাদার মুক্ত দিবস ~২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় মোল্লা জাফর আহম্মেদের সভাপতিত্বে সরদার মঞ্জুর হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক এইচ এম আবুল হাসনাত ।
আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দিবসটির বিশেষ তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তৃতা করেন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর আহবায়ক সাহাবুদ্দিন বদির, উপজেলা পরিষদের ভাইচ চেয়ারম্যান সাংবাদিক শারাফাত হোসেন মুক্তি,খুলনা জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য প্রজেশ রায়, মো: সাঈদ, শংকর কুমার বিশ্বাস ( অধ্যাপক) আশরাফুল আলম রাজু, আলহাজ্ব মিসকাত, মালতী লতা বাড়ই, ডা এস এম জাহেরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে ।
তেরখাদায় পাক-হানাদার বাহিনী মুক্ত দিবস ~২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে আনন্দ রেলী, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তি যোদ্ধা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সর্ব সাধারণের উপস্থিতিত্বে তেরখাদা উপজেলার প্রতিভময়ী শিল্পী বৃন্দ সংগীত পরিবেশন করেন ।