মোঃ কামাল হোসেন,নিজস্ব প্রতিবেদক মাদারীপুরঃ-মাদারীপুর সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাস্তী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড়ের পশ্চিম রাস্তী গ্রামে (২৬ আগস্ট) সকাল ১০ টার সময় এঘটনা ঘটে। এতে ৪টি ঘর ও একটি দোকান ভাংচুর,লুটপাট ও বোমা বস্ফোরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রাস্তি গ্রামের মৃত হারুন হাওলাদারের ছেলে মিঠু হাওলাদার, সাগর হাওলাদার,শাহিন হালাদার ও মেয়ে মনি বেগম এর সাথে পুরানবাজার রাজু হাওলাদার ও তার স্ত্রী নাজমা আক্তার পুর্নিমা ও পাঁচখোলা এলাকার মৃত জালাল মুন্সীর ছেলে আক্তার হোসেন সেন্টু মুন্সীদের সাথে দির্ঘ দিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
এঘটনার বিষয় নিয়ে মিঠু হাওলাদার গং মাদারীপুর বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ ১ম আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। যাহার দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং-১৩৮/২০২৩ ই
এবিষয়ে সাগর হাওলাদারের স্ত্রী সম্পা বেগম বলেন, গত শনিবার (২৬ আগষ্ট ) আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেন্টু মুন্সী(৭০),পলাশ মুন্সী(৩৫),রাজু হাওলাদার(৬৭), এনজাল হাওলাদার(৬০) সিয়াম হাওলাদার (২০) সহ মোট ২৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন প্রতেকেই একটি করে ককটেল বোমা হাতে নিয়া আমাদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে আমাদেরকে ও আমাদের বসত ঘরে লক্ষ করে একাধারে বৃষ্টির মত বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে।
তাদের তান্ডব লিলার সম্মখে থাকিয়া দৌড়াইয়া কোন মতে বসত ঘরে প্রবেশ করিলে প্রানে রক্ষা পাই। তাহারা বাড়িতে বোমা বিস্ফোরন ঘটাইয়া মিঠু হাওলাদারের ঘরে প্রবেশ করিয়া ঘড়ের সকল আবাপত্র লুট করিয়া নিয়ে যায় এবং ঘড়ের দরজা জানালা,কোপাইয়া,পিটাইয়া ভাংচুর করে।
আমাদের বসত ঘর সংলগ্ন মুদি দোকান কোপাইয়া পিটাইয়া ভাংচুর করিয়া দোকানের মালামাল লুট করিয়া নিয়া যায় এবং আমার ননদ মনি বেগম ও আমার ভাসুর শাহিন হাওলাদার ও আমার স্বামী সাগর হাওলাদারের বাড়ি ঘরের আসবাপত্র ও দরজা –জানালার থাই গ্লাস, ঘরের বেড়া কোপাইয়া পিটাইয়া ভাংচুর করে।
আমাদের ৪টি বসত ঘর ও ১টি দোকান ঘর ভাংচুর করে । আমদের ঘরে থাকা নগদ এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও আলমারিতে থাকা ১৩ ভরি শর্নালংকার নিয়া যায় যাহার মূল্য ১৩ লক্ষ টাকা। সর্বমোট আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে হামলাকারীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার নিরাপত্তা চেয়ে সাগর হাওলাদারের স্ত্রী সম্পা বেগম (৩৯) মাদারীপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানান।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সেন্টু মুন্সী ও রাজু হাওলাদার অস্বীকার করে বলেন, আমাদের জমি জমা না দেওয়ার জন্য এসব নাটক সাজিয়েছে । এঘটনায় আমরা ছিলাম না। আমরা কিছু জানি না।
এঘটনার বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।