দিবাগত রাত পৌনে ১১ টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত গৌরনদী উপজেলা বার্থী ইউনিয়নের বার্থী তারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তারাকুপি গ্রামের বাসার দেওয়ানের নিজ বসতঘরে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলার মশাং গ্রামের ভিকটিম ধর্ষিতা বিধবা ওই নারী বাদি হয়ে অভিযুক্ত চারজনকে আসামি করে শুক্রবার বিকালে গৌরনদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলো-উপজেলার তাঁরাকুপি গ্রামের বাশার দেওয়ানের ছেলে আরিফ দেওয়ান (৩৫), কামাল গোমস্তার ছেলে আশিক গোমস্তা (৪০)সহ চার জন।
সন্ধ্যায় বার্থী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আরিফ দেওয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভিকটিম অভিযোগ করে বলেন, বার্থীতে বোনের বাড়ি বেড়াতে আসা যাওয়ার সময় গত ৩মাস পূর্বে আরিফ দেওয়ানের সাথে আমার পরিচয় হয়।
পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে মাঝেমধ্যে মাঝে মধ্যে আমাদের কথা হতো। বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি ৩১ আগস্ট দিবাগত রাত ৯টার দিকে
উজিরপুর থেকে মাহিন্দ্রা যোগে রওনা দিয়ে রাত পৌনে ১০টার দিকে বার্থী বাজারে নামলে আরিফের সাথে দেখা হয়।
এসময় আরিফ তার বসতঘর দেখানোর কথা বলে তাঁরাকুপি গ্রামে একটি টিনের ঘরে নিয়ে যায়।তখন দেখি বাসায় অন্য কেহ নাই।
কথাবার্তার একপর্যায়ে রাত পৌণে ১১টার দিকে আরিফ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বলা অবস্থায় জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণ করে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশিক গোমস্তাসহ তিন জনে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়েও ওই ভিডিও ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে আসামিরা পালাক্রমে আমাকে ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বার্থী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মাহিন্দ্রা চালক আরিফ দেওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. হেলালউদ্দিন জানান।