নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার কথা বলে অর্থের বিনিময়ে ভূয়া কার্ড প্রদান ও ভিজিডি কার্ডের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগের চারদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের পূর্ব মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা ভূক্তভোগী বেবী বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে ওই গ্রামের আব্দুস ছালাম মোল্লার স্ত্রী বেবী বেগম থানান- তার দায়ের করা লিখিত অভিযোগটি এজাহারভূক্ত করার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বেবী বেগম বলেন, পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সেন্টু, তার ছোট ভাই সুমন হাওলাদার ও কিরন মালা দীর্ঘদিন থেকে ইউনিয়নের অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতার কার্ড করে দেওয়া এবং ভিজিডির কার্ড দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। উল্লেখিত ব্যক্তিরা প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আমার কাছ থেকে ১৫শ’ টাকা, প্রতিবেশী মৃত রুস্তুম মোল্লার স্ত্রী হাসিনা বেগমের কাছ থেকে ভিজিডি কার্ডের জন্য ৩১শ’ টাকা, রুহুল আমিন সিকদারের স্ত্রী শাহিনুর বেগমের কাছ থেকে ভিজিডি কার্ডের জন্য ৩১শ’ ৫০ টাকা, মশিউর হাওলাদারের স্ত্রী জাকিয়া বেগমের কাছ থেকে ভিজিডি কার্ডের জন্য তিন হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বেবী বেগম আরও বলেন, কতিপয় ব্যক্তির স্বার্থের কারণে সরকারের মহতি উদ্যোগগুলো ম্লান হচ্ছে। তাই গত ২৪ আগস্ট থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিখিত অভিযোগ ওইসব ভূক্তভোগীরা স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছেন। অথচ থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে লিখিত অভিযোগটি এজাহারভূক্ত করছেন না। উল্টো বাকেরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা আমাকে তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। অপরদিকে অভিযুক্তনা লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্নধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করছেন। সংবাদ সম্মেলনে ওই ইউনিয়নের অন্যান্য ভূক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।