মোঃ হেমায়েত হোসেন,নিউজ ডেক্স প্রতিদিনের টাইম-সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও মাদারীপুর-৩ আসনের চার বারের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন আর নেই ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন।
মঙ্গলবার রাত ২,৫ ঘটিকার সময় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন, সৈয়দ আবুল হোসেন।
আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন মঙ্গলবার সকালে ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন, তার মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন,সৈয়দ আবুল হোসেনের সুযোগ্য ভাগ্নে ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন। তিনি আরো বলেন আমার মামার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেনের দুই মেয়ে দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন। তারা দেশে এলে তারপর জানাজার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আপতত এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।
সৈয়দ আবুল হোসেন তার মৃত্যুর পরে এক স্ত্রী খাজা নার্গিস, দুই মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন এবং সৈয়দা ইফফাত হোসেনসহ অসংখ্য গুনীজন রেখে গেছেন। আবুল হোসেন এর মৃত্যুতে ডাসার, কালকিনিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার দক্ষিণ ডাসারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী একজন শিল্পপতি এবং সৈয়দ আবুল হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে মাদারীপুর-৩ আসন ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এরমধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন।২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি সই করে সরকার,বছরের শেষ দিকেই তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি যোগাযোগমন্ত্রীর পদ থেকে সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন।
উক্ত মামলাটি কানাডার আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে,তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি বিদ্যার সাগর খ্যাত উপাধিও পেয়েছিলেন।