সফিকুল ইসলাম রানা,চাঁদপুর জেলাস্টাফ রিপোর্টারঃ-রঙিন আলোর উৎসব যেন গোটা মন্ডপ জুড়ে। সড়কের দু’পাশ সেজেছে আলোর মিছিলে। প্রতিটি মন্ডপের প্রবেশ পথে নির্মাণ করা হয়েছে আকর্ষণীয় তোরণ। মন্ডপ থেকে ভেসে আসছে ঢাকের বাদ্য, ধুপের ধোঁয়া, শঙ্খ আর উলুধ্বনি। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে উৎসবের আমেজ। মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিনের প্রতিটি পূজা মণ্ডপের একই চিত্র। সঙ্গে নাচ-গান-আরতি আর দেবী বন্দনা। হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ এ উৎসবে মেতে উঠেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিশু, কিশোরসহ সব বয়সী মানুষ।
হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় এ দূর্গা উৎসবে যোগ দে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিন) আসন থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান (এসি মিজান)।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করতে তিনি প্রতিটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আর্থিক অনুদান তুলে দেন আয়োজক কর্তৃপক্ষের হাতে। এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ৭১টি মন্ডপের মধ্যে বাকী ৭টি পুজা মন্ডপের নেতারা তাঁর নিজ বাড়ি সানকিভাঙ্গা গ্রাম থেকে অনুদানের অর্থ গ্রহন করেন বুধবার।
জানা গেছে, দুই উপজেলার ৭১টি মণ্ডপে উদযাপন করা হয় শারদীয় দূর্গা উৎসব। এ বছর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রতিটি পূজা মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
মিজানুর রহমান এসি মিজান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ রত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি প্রতিটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে তাদের উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করতে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি মন্ডপে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দিয়েছি।
এসময় মতলব উত্তর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস’সহ ৭টি মন্ডপের নেতৃবৃন্দ ও সনাতন ধর্মালম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।