জাকির হোসেন,বানারীপাড়া প্রতিনিধিঃ- বরিশালের বানারীপাড়া থানা পুলিশ শীর্ষ তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করে কয়েক দশকের সর্বোচ্চ সাফল্যের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। বানারীপাড়া থানা ইনচার্জ মোঃ মোস্তফা বানাপাড়াবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। গত ৫ মে সোমবার রাত ৮.৩০ মিনিটে বরিশালের গড়িয়ারপাড় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
গত ২১ এপ্রিল উপজেলার বাইশারীতে বাবুল দফাদারের বাড়িতে, ৩-মে সলিয়াবাকপুরের চৌয়ারিপাড়ার তালুকদার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদের গ্রেফতারে তৎপর হয় থানা পুলিশ।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের চৌকস অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফার সার্বিক দিকনির্দেশনায় ওসি(তদন্ত) শতদল মজুমদারের নিরলস প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে এস আই চন্দন,এস আই অজয়,এস আই মাহফুজ ও এস আই পলাশ সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় ডাকাতদের আটক করা হয়।
ওসি (তদন্ত) শতদল মজুমদার জানান ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারে বানারীপাড়া টিম পুলিশ ৪ এপ্রিল রাত ১১.২৫ মিনিটে কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়ায় অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে ডাকাতরা বরিশালের গড়িয়ারপাড়ে ডাকাতি কার্যক্রম চালাতে সেখানে অবস্থান করছে।
পরে বানারীপাড়া টিম পুলিশ বরিশাল Rab-8 এর সহযোগিতায় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বরগুনা জেলার সদর উপজেলার ডাকাত সর্দার মোঃ সেলিম(৪৫) ও তার দুই সহযোগী বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী গ্রামের মোঃ বাদশা (৪১) এবং আউয়ারের মোঃ ডালিম (৪৩) কে গড়িয়ারপাড় থেকে আটক করে।ওই ডাকাত সদস্যদের নামে পূর্বেও ১০/১২ টি মামলা রয়েছে বলে থানা পুলিশের জিজ্ঞসাবাদে তারা স্বীকারোক্তি দেয়।
এছাড়াও বাইশারী গ্রামের বাবুল দফাদারের বাড়িতেও ডাকাতির ঘটনায় তারা প্রতক্ষভাবে জড়িত ছিলো এবং এ ডাকাতি কর্মকান্ডে তারা মোট সাতজন অংশ গ্রহন করেছিল বলে তারা স্বীকার করে। ডাকাত সর্দার সেলিম ও তার দুই সহযোগী গ্রেফতার হওয়ায় বানারীপাড়া উপজেলায় বসবাসরত জনগনের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এদিকে ডাকাত সর্দারসহ তিন শীর্ষ ডাকাতকে গ্রেফতার করে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করেছে বানারীপাড়া থানা পুলিশ।এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তফার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান ডাকাতদের গ্রেফতার করে বরিশাল কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং বাকী ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।উল্লেখ্য যে, গত ২১ এপ্রিল রাতে বাইশারীর বাবুল দফাদারের বাড়িতে দুদর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হলে পরের দিন ২২ এপ্রিল উপজেলার গরদ্ধার গ্রামের শহিদুল ইসলাম মানিককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে থানা পুলিশ। পরে ২৪ এপ্রিল মানিকের বাড়ির সামনে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে দাবি করে মানববন্ধন করে তার পরিবার ও কয়েকটি গ্রামের সর্বস্তরের সাধারণ জনগন।