নিজস্ব প্রতিবেদক,আতাউর রহমান চঞ্চলঃ- দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতাকর্মীর কাছে রাজনৈতিক অভিভাবক নামে পরিচিতি হয়ে নেতৃত্বের সুনাম অর্জন লাভ করে, তৃণমূল পর্যায়ে’র সকল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের আস্থার নাম বা আস্থালাভ করেছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল -১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য, পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন পরিবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক,মন্ত্রী পদমর্যাদার আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।
তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় প্রতিনিয়ত তৃণমূল পর্যায়ের সাধারন জনগন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সাথে জনসংযোগ করে যাচ্ছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করার লক্ষে।গৌরনদী- আগৈলঝাড়ার দুই উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেক লীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গৌরনদী- আগৈলঝাড়ার
উপজেলার মোট-১২টি ইউনিয়নের ওয়ার্ড,পাড়া মহল্লা, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনসম্মুখে গণসংযোগ করে চলেছেন জনপ্রিয় এ নেতা। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্।
বরিশাল জেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন যাবত। যার একক নেতৃত্বে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ অতীতের তুলনায় অনেক বেশি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলসহ উত্তর আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন গুলো ।
তার নির্বাচনী আসন বরিশাল -১ ( গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) নিয়ে গঠিত। এই আসন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ এমপি হওয়ার আগ অব্দি আওয়ামী লীগের দখলে ছিলো।যা বর্তমানেও আওয়ামী লীগের দখলে আছে।
প্রথম বারের মতো ৯১-এ বরিশাল-১(গৌরনদী-আগৈলঝাড়া র) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়। তার আগের থেকেই এই দুই উপজেলাসহ ইউনিয়ন ও প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করে। যার ফলে পরবর্তী সময়ও পূণরায় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্।
তবে ২০০১ সালের প্রহসনের নির্বাচনে আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্। পরাজিত হয় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর কাছে। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে গৌরনদী আগৈলঝাড়ার উপজেলার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যখন এলাকা ছাড়া হতে বাধ্য হয় তখন কোটালীপাড়া তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্। তাতেই হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আস্থা অর্জন করে।
২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বরিশাল জেলা থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে নেতাকর্মীদের দিয়ে সক্রিয় অবস্থান নেন আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্। তখন থেকেই বরিশাল আওয়ামী লীগের শক্ত দুর্গ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
২০০৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বরিশাল এক আসনে এ্যাড তালুকদার মোঃ ইউনুস বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। যা ছিল আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্’র সাংগঠনিক দক্ষতার ফলশ্রুতি। এতেই আস্থা অর্জন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্’র প্রতি আস্থা রেখে বারবার বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন।
সম্প্রতি সময়ে বিএনপি বিভিন্ন জেলায় আন্দোলন সংগ্রাম করার চেষ্টা চালালেও বরিশালে তেমন কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে নাই। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল মনে করেন এ জেলায় আওয়ামী লীগের শক্তিশালী দূর্গ হবার কারণেই বিএনপি আন্দোলন করতে বার বার ব্যর্থ হয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। যার ফল হিসেবে প্রতিবার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে লক্ষাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেটা কিনা যেকোনো জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে বেশি নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল।
একাধিক তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ আমাদের আস্থার নাম। তিনি প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেকোনো বিপদ আপদে পাশে থাকে। তাদের সুখ দুঃখের কথা শোনে।এটাই নেতার প্রকৃত ভালোবাসা।সেই সাথে উন্নয়ন করেছে ব্যাপক।
উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ সহিদ তালুকদার বলেন, ৯১ এর আগে এই আসন আওয়ামী লীগের ছিল না। এটি জাতীয় পাটির দখলে ছিল। তবে ৯১ নির্বাচনে আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচনে জয় লাভ করে। সেই থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে তার সক্ষতা গড়ে উঠেছে। তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিটি নেতাকর্মীদের সাথে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে। যার ফলে প্রতিটি নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয় হয়েছে। আমার রাজনৈতিক গুরু ও অভিভাবক প্রানপ্রিয় নেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে,এই আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে এটাই আমাদের আশা ও প্রত্যাশা এবং সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি আমরা উপজেলার নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীরা।
উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতৃবৃন্দ বলেন, এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ এর সময়ে যে কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় লাভ করেছে। যেখানে অন্যান্য জেলায় দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌর সভায় অন্য দলের প্রার্থী বিজয় লাভ করেছে।তবে বরিশাল জেলা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ এর বয়স হয়েছে। তার এই বয়স কোন বাধা না সেটা তিনি প্রমাণ করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করতে নিয়মিত জেলা ও উপজেলা তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে।