বিশেষ প্রতিনিধিঃ- আপনারা সাংবাদিক আমার স্বামী যুবলীগ নেতা।এতেই বুঝা যায় কতটা সেখানে তার কতটা প্রভাবের সামরাজ্যা কায়েম করেছে। কোণঠাসা করে করেছে সেখানে থাকে অন্যান্য স্টাফদের।বরিশালে গরীব অসহায় মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আমানতগঞ্জ হলিং বেরী সৈয়দ মোয়াজ্জেম রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠানের কামরুন নাহার রুনার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসা অনেকেই রোগীই অভিযোগ করেন। সেবা নিতে আসা রোগীরা অভিযোগ করেন তাদেরকে ভর্তির পরে নানা ভাবে হায়রানী করা হয় অতিরিক্ত টাকা না দিলে।রুগীর ছুটির দিন আগেই বিল করে বিলের কাগজ আটকিয়ে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে না দিলে করা হয় খারাপ ব্যবহার। অভিযোগ উঠেছে আমানতগঞ্জ হলিং বেরী সৈয়দ মোয়াজ্জেম রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের এক স্টফ কামরুন নাহার রুনার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাহার সমান। তারা রশিদের লেখার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে যা নিয়ম বহির্ভূত।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম রেড ক্রিসেন্ট হাস্পাতাল সিজারিয়ান রোগীদের সল্প খরচের আশায় এখানে এসে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হয়রানির শিকার হচ্ছে। কাটা হচ্ছে রুগীদের পকেট। আদায় করা হচ্ছে তাদের থেকে অতিরিক্ত ফি, আদায় করে কামরুন নাহার রুনা আত্নসাত করছেন অভিযোগ অন্যোন্য স্টাফদের।
হলিং বেরী সৈয়দ মোয়াজ্জেম রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে দুইটি প্যাকজে সিজারিয়ান রোগীদের ভর্তি করে ট্রিটমেন্ট প্রদান করে থাকেন। জেনারেল এবং কেবিনে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়, জেনারেল ওয়ার্ডের ৮০০০ হাজার টাকা আর কেবিনের ১২০০০ টাকা বিনিময়ে।জেনারেল বেডের ৪-৫ দিনের প্যাকেজে একজন রোগীকে শুধু ট্রিটমেন্ট ও অপারেশনের জন্য আট হাজার টাকা প্রদানের কথা থাকলেও তাদের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
৫ নভেম্বর শনিবার রাতে সোনিয়া নামে সিজারিয়ান রুগী ভর্তি হলে চিকিৎসা শেষে বৃহাস্পতি বার সকালে তাকে রিসিপশন থেকে নার্সের মাধ্যমে আট হাজার টাকার বিলে রুনার সুপারিশে সিও পাঁচশত টাকা কমিয়ে সাতহাজার পাঁচশত টাকার বিলের কাগজ দেওয়া হয়।
রুগীর কাছ থেকে রুনা নামের স্টাফ বিলের কাগজ নিয়ে বলে তাকে নয় হাজার পাঁচশত দিতে হবে, কারন জানতে চাইলে বলে যে দুই হাজার টাকা তাদের স্টাফ বাবদ। ভূক্তভূগি মানসম্মানের ভয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সে বাসায় চলে আসে। ভূক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন আমি টাকা ক্যাশ কাউন্টারের দেওয়ার কথা বললে রুনা আম্মার উপর উত্তেজিত হয়ে উঠে বলে মানুষকে উপকার করতে নেই।
মনির নামে আরেক ভূক্তভূগী অভিযোগ করে বলে ১৮ দিন আগে আমি আমার আত্নীয় রাবেয়া আক্তার ফাতেমা নামের রোগীকে ভর্তি করালে আমার কাছ থেকে ও দুই হাজার টাকা বেশী নেন, আমার পরিচিত হওয়ায় আমি তার কাছে সহযোগিতার পরিবর্তে ক্ষতি হল। এলাকার মানুষ হিসাবে আমি তাকে দিয়ে আশা করেনি। আমি আর কোনদিন এই হাসপাতালে অন্য কাউকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসবো না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মহিলা নার্স জানান তারা কামরুন নাহার রুনার কাছে এক প্রকার জিম্মি, লাঞ্ছিত ও চাকরি হারানোর ভয়ে কোন কথা বলতে পারে না।কারন তার স্বামী স্থানীয় যুবলীগ নেতা তাই সবাই তাকে ভয় করে।
রুনা চাকরির সুবাদে দীর্ঘদিন যাবত আমানতগঞ্জ হলিং বেরী সৈয়দ মোয়াজ্জেম রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের পুরাতন ভবনের অর্ধেক ভবন দখল করে ফ্রি পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে।তারজন্য তাকে কোনদিন দিতে হয়নি ভাড়া! যাতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্যেন্য স্টাফরা। অভিযোগ উঠেছে রুনার বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করার।
রুনা কোন ৫ শ্রেনী পাশ না করে জাল জালিয়াতি করে অন্যের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করে আসছে। এ বিষয়ে রুনার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান যে আমি কোন সাংবাদিকে কে গুনি না আমার স্বামী যুবলীগ নেতা। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট।
হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন খান প্রথমে অস্বীকার করলে ও তথ্য প্রমানের কথা জানালে সত্যতা স্বীকার করে বলে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একে এম জাহাঙ্গীরকে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করেনি।