জাকির হোসেন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ-বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে ইলিশ নিধন বন্ধে অভিযানকালে মেরিন অফিসার প্রতুল জোয়াদ্দার জেলেদের হামলায় উপজেলা গুরুতর আহত হয়েছেন। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের দ্বিতীয় দিন এই ঘটনা ঘটে।
উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের নলশ্রী- দিদিহার গ্রাম সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে ১৪ অক্টোবর শনিবার দুপুরে ফাইটার ট্রলার নিয়ে কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ নিধন করছিলেন ৬/৭ জন অসাধু জেলে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা নদীতে অভিযানে থাকা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ও মেরিন অফিসার প্রতুল জোয়াদ্দার তাদের ট্রলার নিয়ে জেলেদের আটক করতে ঘটনাস্থলে যান।
তাদের ধাওয়া করে সেখানে অভিযানের ট্রলারটি পৌছলে অভিযানের ট্রলার দেখে জেলেরা তাদের ট্রলার দ্রুত চালিয়ে নলশ্রী এলাকার শাখা খালে ডুকে যায় এবং তীর থেকে জেলেরা ইটপাটকেল মারতে থাকে। এতে তীরে থাকা জেলেদের ঘরের ভিতর থেকে নারীরাও ইট ছুড়ে মারে। তাদের ইটের আঘাতে উপজেলা মেরিন অফিসার প্রতুল জোয়াদ্দারের মাথা ফেটে যায়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
পরে খবর পেয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবুজর মোহাম্মদ ইজাজুল হক ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তিনি যাওয়ার পূর্বেই জেলেরা পালিয়ে যান। এসময় স্থানীয়দের কাছ থেকে লাইজু বেগম,রুহুল আমিন,আছিয়া বেগম জামাল, সাদ্দাম,তানভীর ও কাওছার নামের ৭ হামলাকারী জেলের নাম পেয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে এসিল্যান্ডের সঙ্গে অভিযানে যাওয়া বানারীপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন,
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জামাল হোসেনকে ওই ৭ জেলেকে সন্ধ্যার মধ্যে থানায় নিয়ে আসার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা না আসায় এ ব্যপারে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যপারে বানারীপাড়া থানার ওসি এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আসামীদের গ্রেফতারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতিমা আজরিন তন্বী বলেেন মা ইলিশ রক্ষায় তার অবস্থান জিরো টলারেন্সে। সন্ধ্যা নদীতে অভিযানের সময় মেরিন ফিসারিজ অফিসারের ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।