এমদাদুল হক কাজল নিজস্ব প্রতিবেদক মাদারীপুর।মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের দর্শনা এ কে ডি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র নাগের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্বসাধ, নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের উত্তপ্ত নারী কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে এলাকাবাসীর লিফলেট বিতরন।
এলাকাবাসীর তথ্য সূত্রে জানা যায় ছাত্রী উত্তপ্তসহ বিভিন্ন অনিয়ম, স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিদ্যালয়ের প্রশংসা পত্র মূল সনদ প্রবেশপত্র মার্কশিট সার্টিফিকেট সহ ইত্যাদির টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগ উল্লেখ করে লিফলেট তৈরি করেন এলাকাবাসী।
উক্ত লিফলেট গুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ফেইসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল করা হয়েছে। উল্লেখিত লিফলেটে দেখা যায় প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র নাগ ছাত্রীদের সুইটি ও প্রিয়া ও আমার জান সুইট হার্ট সহ বিভিন্ন নামে ঢাকেন বলে লিফলেটে উল্লেখ করা হয়।লিফলেটে আরো উল্লেখ বলা হয় দুলাল মাস্টার জবাব চাই দিতে হবে এই স্কুল থেকে কেন ছাত্রী চলে যায়।
এছাড়াও উল্লেখিত লিফলেটে দেখা যায় ২০২৩ সালে একজন শিক্ষক নিয়োগে বিষয়ে টাকার বাণিজ্য করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এলাকাবাসী।
লিফলেটে উল্লেখ করা হয় সহকারি প্রধান শিক্ষকের পথ শূন্য থাকায় স্কুলের প্রয়োজন ইংরেজি শিক্ষক কিন্তু আপনি নিতে চাচ্ছেন অযোগ্য বাংলা শিক্ষক দর্শনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিক যার সাথে আর্থিক সহ অনৈতিক সম্পর্কের কথাও লিফলেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো বলা হয় এ যাবৎ স্কুলের অভিভাবক কমিটি করার সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্রী অভিভাবকদের না জানিয়ে গোপনে স্বার্থসিদ্ধি উদ্ধার করার জন্য আপনি স্বার্থবাদী লোকদের নিয়ে বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এতে এলাকাবাসী ক্ষুদ্র হয়ে লিফলেটের ৯ নম্বারে উল্লেখ করা হয় দুলাল মাস্টার নিজ স্কুলের দরিদ্র সুন্দরী শিক্ষার্থী ১৫ বছর বয়সী ছাত্রীকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ২০১০ সালে জুলাই মাসে অপহরণ করে তাকে নিয়ে পালিয়ে ভারত যাচ্ছিল।
পরে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র নাগ কে আসামী করে কালকিনি থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন এবং উক্ত ঘটনায় কালকিনি থানা পুলিশের অভিযানে উদ্ধার করা হয় ভিকটিমকে।এলাকাবাসী লিফলেটে সেই মামলার নাম্বার সহ বাদীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে দর্শনা এ কেডি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ নগের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। লিফলেট ছরিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। লিফলেটে লেখা অভিযোগ গুলোর সাথে আমি জড়িত নাই
তিনি আরো বলেন এলাকার কিছু স্বার্থবাজ মানুষ তাদের সুবিধার্থে স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে লিফলেট ছাপিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রধান শিক্ষক এর অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে চাইলে প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র নাগ শিক্ষার্থীদের সাথে সাংবাদিকদের কথা বলতে দিবেন না বলে জানান।তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন,আপনারা এখান থেকে চলে যান।আপনাদের কি আর কোনো কাজ নেই,
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি আমরা একেডি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র নাগকে চিঠি দিয়েছি।
আগামী রোববার তদন্তের জন্য স্কুলটিতে আমরা গিয়ে তার বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে দেখবো তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ আফরোজ বলেন বিষয়টি আমি আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম এঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।