নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বড়দিয়া-মহাজন ফেরীঘাটে গাড়ীর মালিকরা অনিয়ম ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ বিষয় নড়াইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী
প্রকৌশলী বরাবর ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করেছেন।রশিদ বা মেমো ছাড়া অতিরিক্ত টোল আদায় ও কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহারে গাড়ীর চালক ও মালিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এ অনিয়ম ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে গাড়ীর মালিকরা ও স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মো.মনিরুজ্জামান বিশ্বাসসহ ৮জনের লিখিত অভিযোগে জানা যায়,তাদের নিজস্ব ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন ওই ফেরীঘাট দিয়ে পার হয়ে কাঁচামাল বা অন্যান্য মালামাল নিয়ে ঢাকা বা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন যাওয়া আসা করে। ফেরীঘাট কর্তৃপক্ষ রশিদ বা মেমো ছাড়া জুলুম করে মাত্রারিক্ত টাকা আদায় করে।
নিরুপায় হয়ে গাড়ীর মালিক বা ড্রাইবাররা মাত্রারিক্ত টাকা
দিতে বাধ্য হয়। যা চাঁদা আদায় বলা যায়। এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার ভুক্তভোগীরা মৌখিক ভাবে অবগত করলেও কোন লাভ হয়নি।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা বড়দিয়া-মহাজন ফেরীঘাটে দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যাক্তিরা কোন গাড়ীর সরকারী ভাড়া কত? জানতে চাইলে তা বলতে বা জানাতে তারা অপারগতা প্রকাশ করেন।
এছাড়া ফেরীঘাটে গাড়ী পারাপারের জন্য চার্টবোর্ড থাকার কথা থাকলেও তা দেখা যায়নি বা টানানো হয়নি। তবে ভুক্তভোগীদের তরফ থেকে জানা যায়,ওই ফেরীঘাট কর্তৃপক্ষ ট্রাক পারাপারের জন্য ৭’শ কখন ৮’শ টাকা, প্রাইভেট ৩’শ টাকা,পিকআপ ৪’শ টাকা, লেগুনা গাড়ী ৩’শ টাকা করে নিয়ে থাকে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার বড়দিয়া-মহাজন ফেরীঘাটের দায়িত্বে নিয়োজিত ইকরাম মোল্যা যুগান্তরকে বলেন,‘এঘাটে বড়ফেরী, খরচও বেশী,তাই মাঝে মাঝে বাধ্য হয়ে কিছু টাকা বেশী নেই। ট্রাক পারাপারে কত টাকা ভাড়া? এ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
এ বিষয় নড়াইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আশরাফুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন,‘অভিযোগটি আমার হস্তগত হয়নি। তবে ফেরীপারাপারে কোন
অনিয়ম প্রশ্রয় দেয়া হবে না।’