মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,লোহাগড়া নড়াইল প্রতিনিধিঃ-নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকার জয়পুর গ্ৰামে অবস্থিত জে,সি,জি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়,প্রাইভেট সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে।
উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমীর সরকার ভোর ৬ টা থেকে বেলা ৯ টা পর্যন্ত স্কুল প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমে বেজ আকারে প্রাইভেট পড়ান বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উক্ত স্কুল প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক সমীর সরকার ১৬ জন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস রুমের মধ্যে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন,স্কুল প্রতিষ্ঠানের ক্লাস রুমের মধ্যে প্রাইভেট পড়ানো যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কিছু দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের একটু দেখিয়ে দিচ্ছি এই কথা বলে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
প্রাইভেট পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তাহারা বলেন আমরা মাসিক ৪/৫ শত টাকা দিয়ে সমীর সরকার স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ি।
জে,সি,জি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশে পাশের স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে বসবাসরত রফিকুল ইসলাম
ইতোমধ্যে ৪ টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন,
চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর, জেলা শিক্ষা অফিসার নড়াইল, জেলা প্রশাসক নড়াইল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লোহাগড়া নড়াইল, অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে মাষ্টার সমীর সরকার স্কুলের ক্লাস রুমের মধ্যে প্রাইভেট পড়ান, ছাত্র ছাত্রীদের চেঁচামেচি হৈচৈ ও গালি গালাচ শুনতে পেয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোর ৬ টার দিকে মাষ্টার সমীর সরকার কে বিষয় টি জানালে ওই শিক্ষক তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদের হেলিয়ে দেয়, ছাত্ররা সহ বহিরাগত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং ১০/১৫ জন মিলে রফিকুল ইসলাম এর উপর লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয় লোকজন ওই হামলাকারীদের হাত থেকে রফিকুল ইসলাম কে উদ্ধার করে।
এবিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইবাদত হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টিই আমার জানা নেই,
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ হামিদ ভূঁইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন একজন শিক্ষক ৩০ ছাত্রছাত্রী পড়াতে পারবে সেটা ক্লাস টাইম পরে এবং প্রধান শিক্ষকের সমন্বয়ে এর বাইরে যদি কোনো শিক্ষক প্রাইভেট পরিয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি আমি আমলে নিয়ে দেখব।